এই তরুণীর বিরোধিতায় এদিন এই ক্রিকেটারের স্থায়ী জামিন হয়নি। ঢাকার দায়রা জজ কামরুল হাসান মোল্লা আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন সানিকে, ওই সময়ের মধ্যে নাসরিনের সঙ্গে সমঝোতা করতেও সময় দেওয়া হয়েছে তাকে।
জাতীয় ক্রিকেট দলের ঘূর্ণি বোলার সানি এই বছরের শুরু থেকে নাসরিনকে নিয়ে ঘূর্ণি পাকে রয়েছেন।
নাসরিন তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করার পর গত ২২ জানুয়ারি সানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিজেকে সানির স্ত্রী দাবি করে এরপর যৌতুক বিরোধ আইন এবং নারী নির্যাতন আইনে আরও দুটি মামলা করেন নাসরিন।
এসব মামলায় পরে নাসরিনের জিম্মায়ই এই ক্রিকেটারকে জামিন দেয় আদালত। এই মামলার ফাঁকেই ৩০ বছর বয়সী সানির আগের আরেকটি বিয়ের কথাও বেরিয়ে আসে।
আগের দফায় জামিনের মেয়াদ শেষে বুধবার সানি আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইলে বিচারক সমঝোতার জন্য আবারও তাগিদ দেন।
সানির পক্ষে শুনানি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, এম জুয়েল আহম্মদ ও মুরাদুজ্জামান মুরাদ।
তারা আদালতকে বলেন, নাসরিনকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখতে চান সানি, এজন্য তাকে আলাদা ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে থাকছেন না। তিনি সানির প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে বলছেন। কিন্তু এটা সম্ভব না।
“আরাফাত সানির প্রথম স্ত্রীর কথা জেনেই তাকে বিয়ে করেছেন নাসরিন। এখন সানির প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিলে তিনিও মামলা করবেন। সানি এখন দুই স্ত্রীকেই রাখতে চাচ্ছেন,” অগ্রদৃষ্টিকে বলেন আইনজীবী জুয়েল।
তবে নাসরিন আদালতে বলেন, সানি যে আগে বিয়ে করেছিলেন, তা তিনি জানতেন না।
“তার সঙ্গে যখন আমি দেশের বাইরে ঘুরতে যাই, তখন তার পাসপোর্টে অবিবাহিত লেখা ছিল। সে আমাকে ধোঁকা দিয়েছে।”
তিনি সানির জামিন নামঞ্জুরের জন্য আদালতের কাছে আবেদনও করেন। তার পক্ষে আইনজীবী আতিকুর রহমানও জামিনের বিরোধিতা করেন।
২৩ বছর বয়সী নাসরিন বিচারককে বলেন, আরাফাত সানি জামিন পাওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। ফোন দিলেও ধরেন না।
“একদিন তার বাসায় গেলে তার মা নার্গিস আক্তার আমাকে মারধর করেন। সানি আমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। একটি দিনও আমাকে সঙ্গ দিচ্ছেন না।”
অন্যদিকে আইনজীবী জুয়েল বলেন, “আরাফাত সানির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়। তাছাড়া আরাফাত সানি বর্তমানে লীগে খেলছেন। সেখানে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। এ অবস্থায় তার জামিন মঞ্জুর প্রয়োজন।”
এই মামলায় গত ৯ মার্চ একই বিচারক সানিকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর ১৫ মে এবং তারপর ৭ জুন পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।